কন্টেন্ট রাইটিং মার্কেটিংয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। অনেকে মনে করেন যে, এর মানে হলো শুধু ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লেখা। ধারণাটি কিছুটা ভুল। আপনি যদি ইউটিউব ভিডিও স্ক্রিপ্ট লেখেন, তাও এ কাজের মধ্যে পড়ে।
এ লেখা মূলত মার্কেটিংয়ের কন্টেন্ট নিয়ে। তাই আপনি যদি অনলাইনে সাহিত্যচর্চা, অ্যাকাডেমিক আলোচনা আর সাংবাদিকতানির্ভর কন্টেন্ট নিয়ে জানতে চান, তাহলে এটি আপনার জন্য প্রযোজ্য নয়।
কন্টেন্ট রাইটিং কী?
How to do content writing?
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উদ্দেশ্যে ওয়েব কন্টেন্টের পরিকল্পনা করা, কন্টেন্ট লেখা ও এডিটিংয়ের প্রক্রিয়াকে কন্টেন্ট রাইটিং বলে।
বিভিন্ন ফরম্যাটের ওয়েব কন্টেন্ট লিখতে পারেন আপনি। যেমনঃ
- ব্লগ পোস্ট
- সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
- ভিডিও স্ক্রিপ্ট
- ইউটিউব ভিডিওর ডেসক্রিপশন বা বর্ণনা
- বিজ্ঞাপনের কপি
- ওয়েবসাইটের কপি
- ল্যান্ডিং পেইজের কপি
- ইমেইল নিউজলেটার
- রিভিউ
- হোয়াইট পেপার
- কেস স্টাডি
- ইবুক
- পডক্যাস্টের আউটলাইন ও স্ক্রিপ্ট
উল্লেখ্য যে, বিজ্ঞাপন, ওয়েবসাইট ও ল্যান্ডিং পেইজের কপি লেখার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে – কপিরাইটিং (Copywriting)। এর উদ্দেশ্য, ধরন আর ব্যবহার উপরের তালিকায় থাকা অন্যান্য ফরম্যাটের চেয়ে অনেকাংশে আলাদা। তাই বর্তমান লেখায় এর উপর কোনো আলোচনা থাকছে না।
কন্টেন্ট রাইটিং গুরুত্বপূর্ণ কেন?
ভালো ওয়েব কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে আপনি –
- সম্ভাব্য টার্গেট অডিয়েন্সের নজর কাড়তে পারবেন,
- সম্ভাব্য টার্গেট অডিয়েন্সের আস্থা অর্জন করতে পারবেন,
- সেলসের সম্ভাবনা বাড়াতে পারবেন,
- পুরানো কাস্টমারদের আস্থা ধরে রাখতে পারবেন।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বেড়ে যাবার কারণে ওয়েব কন্টেন্ট দিয়ে তাদের কাছে পৌঁছাতে চায় প্রতিটি ব্যবসা আর ব্র্যান্ড। একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে আপনি সে লক্ষ্য পূরণে ভূমিকা রাখবেন। যেমন, কন্টেন্ট দিয়ে ওয়েবসাইটের এসইও ভালো করতে।
কন্টেন্ট রাইটিং ভালো করবেন কীভাবে?
- কন্টেন্টের উদ্দেশ্য ঠিক করুন
- কাদের জন্য কন্টেন্ট লিখছেন, তা বিবেচনা করুন
- কন্টেন্টের আউটলাইন ঠিক করে নিন
- কন্টেন্টের বিষয় নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন
- কন্টেন্টের মূল পয়েন্টগুলোতে স্থির থাকুন
- নিজস্ব স্টাইল থেকে লিখুন
- টার্গেট অডিয়েন্সের কাজে আসে, এমন কন্টেন্ট লিখুন
- কন্টেন্টের গঠন পরিষ্কার রাখুন
- সহজ ভাষায় কন্টেন্ট লিখুন
- বারবার নিজের কন্টেন্ট পড়ুন ও এডিট করুন
১. কন্টেন্টের উদ্দেশ্য ঠিক করুন।
কন্টেন্ট বানানোর আগে আপনাকে জানতে হবে টার্গেট অডিয়েন্স আপনার কন্টেন্ট থেকে কী পাবেন। তাহলে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আপনার লেখাকে সাজাতে পারবেন। সে উদ্দেশ্য হতে পারে:
- টার্গেট অডিয়েন্সকে কোনো ব্যাপারে অনুপ্রেরণা দেয়া
- টার্গেট অডিয়েন্সকে নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করা
- টার্গেট অডিয়েন্সের কোনো সমস্যার সমাধান করা
ক্যামব্রিজ অভিধানের ‘About Words’ ব্লগের কথা ধরা যাক। ইংরেজি শব্দ ও বাগধারা নানা পরিস্থিতিতে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তার উপর বহু কন্টেন্ট রয়েছে এতে। উদ্দেশ্য পরিষ্কার – মানুষকে ইংরেজি শিখতে সাহায্য করা।
কন্টেন্ট রাইটিংয়ের উদ্দেশ্য: ক্যামব্রিজ অভিধানের 'About Words' ব্লগ
ক্যামব্রিজ অভিধানের ‘About Words’ ব্লগের উদ্দেশ্য মানুষকে ইংরেজি শিখতে সাহায্য করা
অন্যদিকে ‘How-To Geek’ টেকনোলজি ম্যাগাজিনের কন্টেন্ট দেখলে বোঝা যায় যে, সেগুলো টার্গেট অডিয়েন্সের কম্পিউটার ও ডিজিটাল প্রযুক্তি সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধান দেয়।
কন্টেন্ট রাইটিংয়ের উদ্দেশ্য: 'How to Geek' ওয়েবসাইট
‘How-To Geek’ টেকনোলজি ম্যাগাজিনের কন্টেন্টের উদ্দেশ্য হলো কম্পিউটার ও ডিজিটাল প্রযুক্তি সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধান দেয়া
২. কাদের জন্য কন্টেন্ট লিখছেন, তা বিবেচনা করুন।
কন্টেন্ট দিয়ে আপনি নির্দিষ্ট টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে যেতে চান। তাই যাদের জন্য কন্টেন্ট বানাচ্ছেন, তাদের পছন্দ-অপছন্দ, প্রয়োজন আর আচরণ সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা থাকা দরকার আপনার।
টার্গেট অডিয়েন্স ঠিক করার সময় এ প্রশ্নগুলো বিবেচনায় রাখুনঃ
- টার্গেট অডিয়েন্সের বয়সের সীমা কত?
- টার্গেট অডিয়েন্স কোন জেন্ডারের?
- টার্গেট অডিয়েন্সের এ বিষয়ে কতটুকু জানার সম্ভাবনা রয়েছে?
- টার্গেট অডিয়েন্স এ বিষয়কে কীভাবে দেখতে পারেন?
প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনাকে কন্টেন্টের ধরন ও ভাষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। উদাহরণ হিসাবে ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দুইটি প্রকাশনার দিকে তাকাই: ‘Harvard Business Review’ ও ‘Inc.’ ম্যাগাজিন।
‘Harvard Business Review’ প্রকাশনার টার্গেট অডিয়েন্স মূলত বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আর এক্সিকিউটিভরা। তাই এর কন্টেন্টের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ব্যবসায়িক স্ট্র্যাটেজির আলোচনা ও বিশ্লেষণ।
কন্টেন্ট রাইটিংয়ের টার্গেট অডিয়েন্স: হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ
হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ কন্টেন্ট প্রকাশ করে সারা বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও এক্সিকিউটিভদের জন্য
আবার ‘Inc.’ প্রকাশনার টার্গেট অডিয়েন্স হলেন ছোট ও মাঝারি ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোক্তা আর এক্সিকিউটিভরা। তাই এতে পরামর্শমূলক কন্টেন্ট এমনভাবে দেয়া হয় যেন একজন নতুন উদ্যোক্তাও তা সরাসরি কাজে লাগাতে পারেন।
কন্টেন্ট রাইটিংয়ের টার্গেট অডিয়েন্স: ইনক ম্যাগাজিন
ইনক ম্যাগাজিন কন্টেন্ট প্রকাশ করে ছোট ও মাঝারি ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোক্তা আর এক্সিকিউটিভদের জন্য
৩. কন্টেন্টের আউটলাইন ঠিক করে নিন।
আপনি যে বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখবেন, তার একটি আউটলাইন বানান। এর মাধ্যমে আপনার মূল পয়েন্টগুলো গোছানো অবস্থায় নিয়ে আসতে পারবেন। তাই সময় তুলনামূলকভাবে কম লাগবে।
আউটলাইন বানানোর আরেকটি সুবিধা হলো, আপনার কন্টেন্টের গঠন বা স্ট্রাকচার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকবে।
আউটলাইন বানাতে –
- পুরো বিষয়কে কয়েকটি অংশে ভাগ করুন।
- প্রতিটি অংশে কী কী পয়েন্ট থাকবে, তা এক কথায় লিখুন।
- ধরা যাক, আপনি একটি রেসিপি লিখবেন। আপনার আউটলাইন হতে পারে এরকমঃ
- খাবারের নাম
- খাবারের বিশেষত্ব (স্বাদ, গন্ধ ও স্বাস্থ্যগত উপকারিতা)
- খাবার বানানোর উপকরণ ও পরিমাণ (কতজনের জন্য খাবার তৈরি করা হচ্ছে, তার ভিত্তিতে)
- খাবার বানানোর ধাপ (আনুমানিক সময়সহ)
- সুন্দরভাবে খাবার পরিবেশন করার উপায়
৪. কন্টেন্টের বিষয় নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন।
যে বিষয়ে কন্টেন্ট বানাতে যাচ্ছেন, সে বিষয়ে আপনি হয়তো ইতোমধ্যে যথেষ্ট জানেন। কিন্তু একটা বিষয়ে জানা আর সে বিষয়কে নির্ভরযোগ্যভাবে উপস্থাপন করা এক নয়। তাই আউটলাইনে থাকা পয়েন্টগুলো নিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে দিন।
সংগৃহীত তথ্যগুলো আলাদা একটি ডকুমেন্টে নোট করে রাখুন। এক্ষেত্রে তথ্যসূত্র উল্লেখ করে কপি-পেস্ট করতে পারেন। দরকার হলে কোনো নোট টেকিং অ্যাপের সাহায্য নিন।
কন্টেন্ট লেখার জন্য তথ্য সংগ্রহ
কন্টেন্ট আউটলাইন অনুযায়ী দরকারি তথ্য এক জায়গায় নিয়ে আসুন
৫. কন্টেন্টের মূল পয়েন্টগুলোতে স্থির থাকুন।
যেকোনো বিষয়ের আলোচনা থেকে অন্যান্য বিষয় উঠে আসা স্বাভাবিক। কিন্তু ওয়েব কন্টেন্ট তৈরির বেলায় মূল বিষয়ের বাইরে যেন আপনার বক্তব্য সরে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ধরা যাক, ভালো ল্যাপটপ কেনার উপায় নিয়ে আপনি ১০ মিনিটের একটি ভিডিও বানাচ্ছেন। এক্ষেত্রে স্ক্রিপ্টে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম চলে আসতে পারে। কিন্তু বারবার নানা মডেলের নাম উল্লেখ করতে থাকলে সেগুলোর ফিচার নিয়ে কথাবার্তা জটিল হয়ে উঠবে। তাই শুধু আউটলাইনের পয়েন্টগুলো ব্যাখ্যা করুন। দরকার হলে বাছাই করা ফিচার নিয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন মডেলের উপর ভিডিও বানান।
৬. নিজস্ব স্টাইল থেকে লিখুন।
একেক কন্টেন্ট রাইটারের বক্তব্য প্রকাশের ধরন একেক রকম।
কারো ভাষা গুরুগম্ভীর।
কেউ কেউ কৌতুক মিশিয়ে দেন কন্টেন্টে।
কেউ যুক্তি আর তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করতে ভালোবাসেন।
কারো মতামত শুধু আবেগে ভরা।
কেউ কন্টেন্টের মধ্যে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে আসেন।
কন্টেন্ট স্টাইল নির্বাচনের সময় এ ব্যাপারগুলোতে মনোযোগ দিনঃ
- কন্টেন্ট কোন প্ল্যাটফর্মের জন্য বানানো হচ্ছে? ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট? ফেসবুক? ইউটিউব?
- আপনার টার্গেট অডিয়েন্স সাধারণত কোন ভাষায় কথা বলেন? হালকা মেজাজে নাকি গাম্ভীর্যের সাথে?
কন্টেন্ট লেখার স্টাইল নির্বাচন
প্ল্যাটফর্ম আর টার্গেট অডিয়েন্সকে বিবেচনা করে নিজের কন্টেন্ট রাইটিং স্টাইল ঠিক করুন
ফেসবুকে বাংলা চলচ্চিত্রের মিম শেয়ার করা ইউজার আর লিংকডইনে বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে পোস্ট দেয়া ইউজারের ভাষা আলাদা। এমনকি এ ইউজার যদি কাকতালীয়ভাবে একই ব্যক্তি হয়ে থাকেন, প্ল্যাটফর্ম অনুযায়ী তার কথা বলার ধরন বদলে যাবার সম্ভাবনা বেশি। কাজেই আপনার কন্টেন্ট স্টাইল যেন প্ল্যাটফর্ম উপযোগী ও ইউজারসাপেক্ষে গ্রহণযোগ্য হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৭. টার্গেট অডিয়েন্সের কাজে আসে, এমন কন্টেন্ট লিখুন।
কন্টেন্টের মাধ্যমে একটি বিষয়ের উপর টার্গেট অডিয়েন্সকে পরিষ্কার ধারণা দিতে পারা ভালো। তার চেয়েও ভালো হলো এমন কোনো তথ্য বা পরামর্শ দেয়া যা টার্গেট অডিয়েন্স সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন।
যেমন, এমএস এক্সেলের উপর আপনি একটি ভিডিও স্ক্রিপ্ট লিখছেন বিগিনার লেভেলের নন-টেকনিক্যাল অডিয়েন্সের জন্য। এক্ষেত্রে জটিল সব ফাংশনের কথা না জানিয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ১০টি ফাংশন নিয়ে আলোচনা করুন। তাহলে এমএস এক্সেলের নতুন ইউজারদের জন্য তা বেশি কার্যকর হবে।
৮. কন্টেন্টের গঠন পরিষ্কার রাখুন।
আপনার আউটলাইনের প্রতিটি পয়েন্টকে কন্টেন্টের একেকটি অংশ হিসাবে গণ্য করতে পারেন। পয়েন্টগুলোকে ব্যাখ্যা করার জন্য দরকার হলে সাবপয়েন্টে ভাগ করে ফেলুন।
কন্টেন্টের গঠন পরিষ্কার রাখার জন্য ধাপে ধাপে বিষয়টি তুলে ধরুন। সাথে উদাহরণ ব্যবহার করলে টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
৯. সহজ ভাষায় কন্টেন্ট লিখুন।
কঠিন শব্দ আর অতিরিক্ত লম্বা বাক্য যেকোনো বক্তব্যকে জটিল করে তোলে। ওয়েব কন্টেন্টের বেলায় এটি টার্গেট অডিয়েন্সের বিরক্তি বাড়ায় মাত্র। তাই সহজে বোঝা যায় এমন শব্দ আর বাক্য ব্যবহার করুন।
সহজ ভাষায় কন্টেন্ট লেখা
টার্গেট অডিয়েন্স সহজে বুঝতে পারেন, এমন কন্টেন্ট লিখুন
আপনার ওয়েব কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনি আসলে টার্গেট অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগ করছেন। এক ধরনের সম্পর্ক তৈরি করছেন। তাই বাস্তবে কথা বলার ভঙ্গিতে আপনার ওয়েব কন্টেন্ট লিখুন। দরকার হলে টার্গেট অডিয়েন্সকে সরাসরি সম্বোধন করুন।
১০. বারবার নিজের কন্টেন্ট পড়ুন ও এডিট করুন।
আপনি হয়তো একবারের চেষ্টায় কন্টেন্ট লেখা শেষ করেছেন। অভিনন্দন! কিন্তু একে ভালো কন্টেন্ট বলবেন কি?
কন্টেন্টের আউটলাইনে হয়তো কিছু বাদ পড়ে গেছে।
কন্টেন্টে হয়তো আরো ভালো তথ্য দেয়া যেতো।
মূল পয়েন্টের বাইরে গিয়ে হয়তো বেশি বলে ফেলেছেন।
কন্টেন্ট হয়তো টার্গেট অডিয়েন্সের জন্য কঠিন হয়ে গেছে।
কন্টেন্ট হয়তো জটিল সব শব্দ আর বাক্যে ভর্তি।
একবারের চেষ্টায় ভালো মানের কন্টেন্ট বানানো অত্যন্ত কঠিন কাজ। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো – একবারের চেষ্টায় ভালো মানের কন্টেন্ট বানানো আপনার জন্য বাধ্যতামূলক নয়।
কন্টেন্ট লেখা শেষ হলে তা জোরে জোরে পড়ুন। কোনো জায়গায় খটকা লাগলে সে অংশে পরিবর্তন আনুন। যতক্ষণ পর্যন্ত না নিজে পরিষ্কারভাবে নিজের কন্টেন্ট বুঝতে পারছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত এ কাজ করুন। আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের সাথে মিল আছে এমন কারো মতামত নিলে আরো ভালো হয়।
চালিয়ে যান কন্টেন্ট রাইটিং
আর সব কাজের মতো কন্টেন্ট রাইটিংয়েও চর্চার কোনো বিকল্প নেই। তাই বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট ফরম্যাটে নিয়মিত লিখুন। এতে করে নিজস্ব স্টাইল খুঁজে পেয়ে যাবেন এক পর্যায়ে। কম সময়ের মধ্যেও তখন কন্টেন্ট লেখা সহজ হয়ে আসবে আপনার জন্য।
ডোমেইন হোস্টিং সার্ভিস এই লিংকে চাপ দিন ।
ওয়েব ডিজাইন সার্ভিস এই লিংকে চাপ দিন ।
গ্রাফিক্স ডিজাইন সার্ভিস এই লিংকে চাপ দিন ।
ডোমেইন চেকার এই লিংকে চাপ দিন ।