Free adobe illustrator Books (এডৌবি ইলাস্ট্রেটর)- Free Computer books Downloads

    এডৌবি ইলাস্ট্রেটর (Adobe Illustrator) Adobe Corporation এর একটি Package Program যাহা দ্বারা বিভিন্ন ধরনের Drawing বা ডিজাইন করা সম্ভব। ইতিমধ্যে এই প্যাকেজটি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করে অনেকগুলো ভার্সন অতিক্রম করেছে। এই আর্টিকেলটি লিখা পর্যন্ত Adobe Illustrator এর সর্বশেষ ভার্ষন সিএস অতিক্রম করা সত্ত্বেও আমরা বর্তমানে আপনাদের সামনে সিএস6 দিয়েই কাজ করার চেষ্টা করবো। উল্লেখ্য, আপনি সিএস6 দিয়ে কাজ করা শিখলে তার পূর্বের ভার্ষন কিংবা পরের ভার্ষন (নতুন ভার্সন) সকল ভার্ষনেই কাজ করতে সক্ষম হবেন ইনশাআল্লাহ।
    Image result for Adobe Illustrator
    https://masudcomputerbd.blogspot.com/ ওয়েব সাইট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আধুনিক বিশ্বের গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার হচ্ছে এডৌবি ইলাস্ট্রেটর (Adobe Illustrator)। এই সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে অতি সহজে যে কোন ছবি আঁকা (Drawing) কিংবা মডিফাই (Modify) করা যায়। এডৌবি ইলাস্ট্রেটর (Adobe Illustrator)-এর ন্যায় এতোটা সহজে এবং সুন্দরভাবে অন্য কোন সফটওয়্যারে ছবি আঁকা ও মডিফাই করা যায় বলে https://masudcomputerbd.blogspot.com/ ওয়েব সাইট কর্তৃপক্ষের চোখে পড়েনি। উক্ত সফটওয়্যারটি উৎপত্তির সময় থেকে ধারাবাহিকভাবে আপডেট হয়ে আসছে।
    * কার্যক্ষেত্রে ইলাস্ট্রেটর এর ব্যবহার (Using Illustrator): ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি যে- এডৌবি ইলাস্ট্রেটর একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার, যার মাধ্যমে অতি সহজে যে কোন ধরনের ছবি আঁকা (Drawing) যায় কিংবা মডিফাই করা যায়। এডৌবি ইলাস্ট্রেটর সফটওয়্যার এর সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে এখানে অতি স্বাচ্ছন্দে লেখা Text) ও ছবি (Picture)কে সমন্বয় সাধন করা যায়। তাছাড়া উক্ত সফটওয়্যার এর সাহায্যে অন্য যে সকল কাজ করা যায় তা নিম্নরূপঃ
    (ক) দাওয়াতপত্র, বিয়ের কার্ড ও ভিজিটিং কার্ড অতি সুন্দরভাবে তৈরি করা যায়।
    (খ) প্রসপেক্টার্স, পোষ্টার কিংবা বিজ্ঞাপন সুন্দর ভাবে তৈরি করা যায়।
    (গ) উপন্যাস/বইয়ের কভার পেজ কিংবা পত্র-পত্রিকা মন খুশী মতো ডিজাইন করা যায়।
    (ঘ) প্রকাশনা শিল্প সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের কাজ এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে করা খুবই সহজ।
    * ইলাস্ট্রেটর সফটওয়্যার চালু করা (Run the Illustrator): গ্রাফিক্স সফটওয়্যারসমূহ চালু করার জন্য প্রথমেই আপনার কম্পিউটারে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো ইনষ্টল (Load) আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিন। ইনষ্টল (Install) করা না থাকলে ইনষ্টল (Load)করার ব্যবস্থা করুন। উল্লেখ্য, যে কোন সফটওয়্যার ইনষ্টল করা খুবই সহজ। প্রাথমিকভাবে নিজের জানা না থাকলে পরিচিত জানা যে কোন বন্ধুর সাহায্য নিতে পারেন। আর জানা বন্ধুও যদি না থাকে তাহলে ইন্টারনেট (Internet) থেকে নিয়ম জানার চেষ্টা করুন অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনাদের যে কোন ধরনের সেবা দেয়ার জন্য চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ (উৎকৃষ্ট প্রতিদান দানকারী মহান রাব্বুল আলামিন)।
    উইন্ডোজ এক্সপি অথবা উইন্ডোজ সেভেন- এর ক্ষেত্রে Start> All Programs> Adobe Design Premium CS5/CS6> Adobe Illustrator CS5/CS6-এ প্রবেশ করলে সফটওয়্যারটি চালু হবে। অবশ্য উইন্ডোজ এইট এর ক্ষেত্রে সফটওয়্যারটি ইনষ্টল করা থাকলে তার একটি আইকন বা লিষ্ট ডেস্কটপ মেনুর সাথে থাকবে, যাতে ক্লিক করলে সফটওয়্যারটি চালু হবে এবং নিম্নোক্ত স্ক্রিন প্রদর্শিত হবেঃ

    উপরোক্ত ইমেজটি দেখুন- উক্ত স্ক্রিনে টাইটেল বার, কন্ট্রোলবার, মেনু বার, খালি জায়গা, টুল প্যালেট, টুল বক্স ইত্যাদি প্রদর্শিত আছে। যে সকল বন্ধুগণ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল ইত্যাদি অফিস কোর্সে কাজ করেছেন তারা নিশ্চয়ই এতদিনে টাইটেল বার, কন্ট্রোলবার, মেনু বার ইত্যাদি বিষয়ে পুরোপুরি জেনে থাকবেন। আপনারা শুধুমাত্র এ ধরনের খালি জায়গা. টুল প্যালেট ও টুল বক্স বিষয়ে অবগত নন। তাই আমরা পরবর্তী প্যারাগুলোতে (খালি জায়গা যা পরবর্তীতে কাজ করার জন্য) আর্ট বোর্ড, প্যালেট ও টুল বক্স নিয়ে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। এখন প্রথমেই জেনে নিন আর্ট বোর্ড কোনটি? আপনি মাউস দিয়ে মেনু বার-এর File Menu-তে ক্লিক করে New Submenu-তে ক্লিক করলে একটি নিউ ডকুমেন্ট নামক বক্স আসবে, যার ডান দিকে OK বাটনে ক্লিক করলে কাজ করার জন্য একটি সাদা বোর্ড আসবে, যাকে আর্ট বোর্ড বলা হয় থাকে। যার নমুনা নিম্নরূপঃ

    উপরোক্ত আর্ট বোর্ডে তিনটি অংশ দেখা যাচ্ছে। একটি হচ্ছে প্রিন্টেবল এরিয়া যা চতুর্কোণ বিশিষ্ট মারজিনের ভিতরে কালো রং-এর থাকে আরেকটি হচ্ছে নন প্রিন্টেবল এরিয়া (মারজিনের বাহিরের অংশ) যা লাল রং দ্বারা বেষ্টিত আর অপর অংশ হচ্ছে লাল রং এর বাহিরের (বিশাল) এরিয়া যাকে স্কেচ এরিয়া এরিয়া বলা হয়। আপনি প্রদর্শিত সম্পূর্ণ সাদা অংশে আপনার ইচ্ছেমতো যে কোন ছবি আঁকতে পারবেন কিংবা পূর্বে থেকে কম্পিউটারে থাকা যে কোন ছবির আকৃতি পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবেন। তবে কোন কিছু (ছবি/লেখা) প্রিন্ট দিতে হলে অবশ্যই প্রিন্টেবল এরিয়ার ভিতর (Margin এর ভিতর) রাখতে হবে।
    এই পর্যায়ে আমরা আলোচনা করবো যে টুলগুলোর মাধ্যমে ড্রয়িং নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেই এডৌবি ইলাস্টেটর এর প্রাণ তথা টুল বক্স সম্পর্কে। তার পূর্বে বিভিন্ন টুল প্যালেট সম্পর্কে শুধুমাত্র এতটুকুন বলে রাখছি যে, এডৌবি ইলাস্টেটর-এ অনেকগুলো টুল প্যালেট আছে যা ছবি কিংবা লেখাকে পূর্ণতা দানে বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকে।
    ফিরে আসি টুল বক্সের আলোচনায়- Adobe Illustrator এ যে কোন ধরনের লেখা কিংবা ছবি আঁকার জন্য এই টুল বক্সই হচ্ছে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ। টুল বক্সটিতে সাধারণত যা যা থাকে তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নে দেয়া হলোঃ

    • Selection Tool (V): এই টুলটি একটি একক টুল। এই টুলের সাহায্যে যে কোন অবজেক্টকে সহজে সিলেক্ট করা যায়। টুলটিতে ক্লিক করার পর যে কোন অবজেক্ট-এ ক্লিক করলে ঐ অবজেক্টটি সিলেক্ট হবে আবার একাধিক অবজেক্ট সিলেক্ট করার জন্য Shift Key চেপে রেখে নির্দিষ্ট অবজেক্টগুলোর উপর ক্লিক করলে একসাথে তা সিলেক্ট হবে অথবা মাউস দিয়ে নির্দিষ্ট অবজেক্টগুলোর যে কোন একদিক থেকে ক্লিক করে (বাম বাটনে চাপ রেখে) মাউস মুভ করেও প্রয়োজনীয় অবজেক্ট সিলেক্ট করা যাবে। একাধিক সিলেক্টকৃত অবজেক্টের নমুনা নিম্নরূপঃ

    • Direct Selection Tool (A): এই (Direct Selection) টুলটি একটি গ্রুপ টুল যার অন্তর্ভূক্ত আরো একটি টুল আছে। সেই টুলটি হচ্ছে Group Selection Tool. Direct Selection Tool দিয়ে যে কোন অবজেক্টের এ্যাংকর পয়েন্টে ক্লিক করে টেনে ইচ্ছানুযায়ী আকৃতি দেয়া যায়।
    > Group Selection Tool দিয়ে একটি সম্পূর্ণ অবজেক্ট কিংবা গ্রুপ করা অবজেক্ট সহজেই সিলেক্ট করা যায়। নিচের চিত্রে গ্রুপ টুল দ্বয় এবং সিলেকশানের রূপ/ধরন দেখানো হলো।

    • Magic Tool (Y): একই রং-এর একাধিক অবজেক্ট কিংবা খুবই নিকটবর্তী রং-এর অবজেক্টসমূহকে এক সাথে সিলেক্ট করার জন্য এই একক টুলটি ব্যবহার করা যায়। বুঝার জন্য চিত্রে উদাহরণ উপস্থাপন করা হলোঃ
    • Lasso Tool (Q): একটি অবজেক্টের অংশ বিশেষ সিলেক্ট করে আকৃতি পরিবর্তন করার জন্য উক্ত একক (Lasso) টুলটি ব্যবহার করা যায়।
    • Pen Tool (P): Pen Tool দিয়ে আর্টবোর্ডের বিভিন্ন স্থানে ক্লিক করার মাধ্যমে বিভিন্ন অবজেক্ট তৈরি করা যায়। এই টুলটি একটি গ্রুপ টুল। যার অন্তভূক্ত অন্য টুলগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপঃ
    > Add Anchor Point Tool- যে কোন অবজেক্টের বক্রতাবৃদ্ধির জন্য এই টুলটির সাহায্যে এ্যাংকর পয়েন্ট যোগ করা যায় বা বাড়ানো যায়।
    > Delete Anchor Point Tool- কোন অবজেক্টের বক্রতা কমানোর জন্য এই টুলটির সাহায্যে এ্যাংকর পয়েন্ট কমানো যায় বা মুছে দেয়া যায়।
    > Convert Anchor Point Tool- যে কোন একটি পয়েন্টের শেপকে ইচ্ছে মতো বাঁকা করার জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা যেতে পারে। ছবিতে কিছু নমূনা উপস্থাপন করা হলো।

    • Text Tool (T): টেক্সট টুলটি দিয়ে যে কোন ধরনের স্বাভাবিক লেখার (যেমন- ইংরেজী, বাংলা, আরবি কিংবা অন্য যে কোন ভাষা) কাজ সম্পন্ন করা যায়। টেক্সট টুল একটি গ্রুপ টুল। এই টুল গ্রুপের অন্যান্য টুল হচ্ছেঃ
    > Area Type Tool: নির্দিষ্ট এরিয়ার ভিতর লেখার জন্য প্রথমে যে কোন একটি অবজেক্ট তৈরি করে নিতে হবে কিংবা যে কোন ইমেজ ফাইল খুলে নিতে হবে। তারপর উক্ত টুলটিতে ক্লিক করার পর অবজেক্ট কিংবা ইমেজ ফাইলটির পাথের উপর ক্লিক করে লিখতে হবে।
    > Type on a Path Tool: একটি পাথ তৈরি করে কিংবা যে কোন অবজেক্টের পাথের উপর লিখার জন্যে এই টুলটি ব্যবহার করা হয়।
    > Vertical Type Tool: উপর থেকে সোজাসুজি নীচের দিকে লেখার জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
    > Vertical Area Type Tool: একটি নিদিষ্ট এরিয়ায় ভিতর উপর থেকে নীচের দিকে লেখার জন্য এই টুলের সাহায্যে লেখা যায়।
    > Vertical Type on a Path Tool: একটি পাথ কিংবা অবজেক্টের পাথের উপর সোজাসুজি উপর থেকে নীচে লেখার জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিম্নে সকল টেক্সট টুলের লেখার নমুনা উপস্থাপন করা হলোঃ

    • Line Segment Tool (\): এই টুলটি দিয়ে সরল রেখার ন্যায় পাশা-পাশি, কোনাকুনি কিংবা উপর-নীচে সোজাসুজি রেখা অংকন করা যায়। এটি একটি গ্রুপ টুল। যার অধীনে আরো ৪ (চার)টি টুল আছে। যেমনঃ
    > Arc Tool: এই টুলটি দিয়ে বাঁকা রেখা (অনেকটা বৃত্তাংশের ন্যায়) অংকন করা যায়।
    > Spiral Tool: অনেকটা মশার কয়েলের ন্যায় আকৃতি বিশিষ্ট গোলাকার অবজেক্ট তৈরি করার জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
    > Rectangular Grid Tool: চতুর্ভূজ আকৃতির গ্রিড আঁকার জন্য উক্ত টুল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা অনেকটা রো এবং কলামের ন্যায় দেখায়।
    > Polar Grid Tool: মাকড়শার জালের ন্যায় গ্রিড বিশিষ্ট অবজেক্ট আঁকার জন্য উক্ত টুলটি ব্যবহার হয়ে থাকে। নিম্নে ছবিতে কিছু অবজেক্ট এঁকে দেখানো হলোঃ

    • Rectangle Tool(M): চারকোনা বিশিষ্ট যে কোন মাপের অবজেক্ট আঁকার জন্য এই টুলটি ব্যবহৃত হয়। মাউস মুভ করে কিংবা পরিমাপ লিখে অবজেক্ট তৈরি করা যায়। এই টুলের সাথে আরো যে সকল টুল রয়েছে তা হচ্ছে-
    > Rounded Rectangle Tool: কিছুটা স্মুথ (মসৃণ) চার কোন বিশিষ্ট অবজেক্ট আঁকার জন্য এই টুলটি ব্যবহৃত হয়)। এই টুলটিতে ক্লিক করার পর মাউস মুভ করে অথবা অপশন বক্সে পরিমাপ লিখে অবজেক্ট তৈরি করা যায়।
    > Ellipse Tool: গোলাকার বা ডিম্বাকৃতির কোন অবজেক্ট আঁকতে এই টুলটি ব্যবহৃত হয়। অবজেক্ট তৈরির নিয়ম একই (অর্থাৎ, চারকোনা কিংবা মসৃণ চারকোন অবজেক্ট তৈরির ন্যায়।
    > Polygon Tool: উক্ত টুলটি দিয়ে বহুভোজ ক্ষেত্র তৈরি করা যায়। যদিও এটি ছয় কোন বিশিষ্ট দেখা যায় বাস্তবে কাজ করতে গেলে এই টুলটি দিয়ে ত্রিকোণ থেকে শুরু করে অসংখ্য কোন বিশিষ্ট অবজেক্ট তৈরি করা যায়। তবে মাত্রাতিরিক্ত কোন নিদিষ্ট করলে এটি স্বকিয়তা হারিয়ে অনেকটা ইলিপস্ টুলের আকৃতি ধারণ করবে। অবজেক্ট তৈরি করার জন্য টুলটিতে ক্লিক করে আর্টবোডে মাউস মুভ করতে থাকা অবস্থায় আপ এ্যারো কী চাপলে কোণের সংখ্যা বাড়তে থাকবে আর ডাউন এ্যারো কী চাপলে কোণের সংখ্যা কমতে থাকবে।
    > Star Tool: এই টুলটি দিয়ে তারা জাতীয় অবজেক্ট তৈরি করা যায়। অবজেক্ট আঁকার সময় পলিগণ টুলের ন্যায় ব্যবহার করে কোণের সংখ্যা বাড়ানো কিংবা কমানো যায়।
    > Flare Tool: এই টুলটি দিয়ে অনেকটা সৌরজগতের ছবির ন্যায় অবজেক্ট তৈরি করা যায়।

    • Paintbrush Tool (B): এই একক টুলটির সাহায্যে ব্রাশ দিয়ে রং করার ন্যায় বিভিন্ন অবজেক্ট আঁকা যায়৷ Window মেনুর Brush অপশনে ক্লিক করলে ব্রাশ প্যালেট পাওয়া যায় অথবা ব্রাশ প্যালেট-এ ক্লিক করলে ব্রাশ অপশনটি প্রদর্শিত হবে। যার সাহায্যে ব্রাশের পূরত্ব এবং ডিজাইন পরিবর্তন করা যায়। অর্থাৎ নিজের মনের মতো করে অবজেক্ট তৈরি করা যায় ব্রাশ টুলের সাহায্যে।

    • Pencil Tool (N): এই টুলের সাহায্যে পেন্সিল দিয়ে লিখা কিংবা ছবি আঁকার ন্যায় করে বিভিন্ন অবজেক্ট আঁকা যায়। এই টুলটি একটি গ্রুপ টুল। উক্ত গ্রুপের অপর টুল দু’টি বিবরণ নিম্নরূপঃ
    > Smooth Tool: পেন্সিল, ব্রাশ অথবা অন্য কোন ভাবে আঁকা অবজেক্টকে স্মুথ বা মসৃণ করার জন্য অবজেক্ট সিলেক্ট থাকা অবস্থায় উক্ত টুলটি দিয়ে যে অংশে স্মুথ করা প্রয়োজন সে অংশে ক্লিক করে মুভ করতে হবে।
    > Path Eraser Tool: কোন পাথ মুছে দেয়ার প্রয়োজন হলে এই টুলটির সাহায্যে পাথ মুছে দেয়া যায়।
    • Blob Brush Tool (Shift + B): উক্ত ব্লব ব্রাশ টুলটি দিয়ে ব্রাশ টুলের ন্যায় কিন্তু ব্রাশ টুলের চেয়ে মোটা করে যে কোন ধরনের অবজেক্ট আঁকা যায়। ব্রাশ টুলের সাথে উক্ত টুলের প্রার্থক্য হচ্ছে ব্রাশ টুল সিলেক্ট করে ব্রাশ প্যালেট থেকে ব্রাশের ডিজাইন পরিবর্তন করা যায় কিন্তু উক্ত টুল দ্বারা ডিজাইন পরিবর্তন করা যায় না।
    • Eraser Tool (Shift + E): কোন অবজেক্টকে কিংবা অবজেক্টের অংশ বিশেষকে মুছে দেয়ার জন্য ইরেজ টুল ব্যবহার করা হয়। এই টুলটি একটি গ্রুপ টুল। উক্ত গ্রুপ টুলের অন্য দুটি টুল হচ্ছে যথাক্রমেঃ
    > Scissors Tool: এই টুলটি দিয়ে কোন অবজেক্টকে কাটার জন্য টুলটিতে ক্লিক করে অবজেক্টের যে যে অংশ কাটার প্রয়োজন সে সে অংশে ক্লিক করার পর সিলেকশান অথবা ডিরেক্ট সিলেকশান টুল দিয়ে সিলেক্ট করে ডিলিট কী চাপলে অপ্রয়োজনীয় অংশ মুছে যাবে।
    > Knife Tool: চুরি দিয়ে কেক কাটার ন্যায় করে এই টুল দিয়ে যে কোন অবজেক্ট কাটা যায়।
    • Rotate Tool (R): কোন স্থির অবজেক্টকে ঘুরানোর জন্য উক্ত রোটেট টুলটি ব্যবহৃত হয়। এই রোটেট টুলের আরেকটি উপকারিতা হচ্ছে অতি সহজে এর সাহায্যে অনেক ডিজাইন করা সম্ভব। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়- আপনি যদি একটি ফুল আঁকতে ইচ্ছে করেন তাহলে প্রথমে পেন, ব্রাশ অথবা পেন্সিল টুল দিয়ে একটি পাপড়ি আঁকুন। তারপর পাপড়িটিকে সিলেকশান টুল দিয়ে সিলেক্ট করে রোটেট টুলটিতে ক্লিক করার পর পাপড়িটির গোড়া থেকে সামান্য দূরত্বে Alt কী চেপে রেখে ক্লিক করলে একটি ডায়লগ বক্স আসবে তার এঙ্গেল অংশে 12/13/14 (যে কোন একটি সংখ্যা) লিখুন, তারপর কপি বাটনে ক্লিক করলে পাপড়ির একটি কপি তৈরি হয়ে যাবে। অতঃপর Ctrl কী চেপে রেখে D চেপে ধরলে দেখবেন একটির পর একটি পাপড়ি পেষ্ট হচ্ছে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এটি ফুলের ন্যায় হয়ে যাবে। রোটেট টুলটি একটি গ্রুপ টুল। এই গ্রুপের অপর টুলটি হচ্ছেঃ
    > Reflect Tool: রিফ্লেক্ট টুল দ্বারা কোন অবজেক্ট-এর কেন্দ্র ঠিক রেখে তাকে প্রতিফলিত বা প্রতিবিম্বিত করা যায় এবং এর সাহায্যে ডুপ্লিকেট প্রতিবিম্ব তৈরি করা যায়। মনে করুন, আপনি একটি গাছের ডান দিকের ডাল তৈরি করলেন, বাম দিকেও ঠিক একই রকম ডাল তৈরি না করে উক্ত টুলের সাহায্যে কপি করে তা অনায়াসে সেট করতে পারবেন। যার ফলে আপনার সময় ও শ্রম উভয়টি সাশ্রয় হবে।
    • Scale Tool (S): এই গ্রুপ টুলটি দিয়ে যে কোন অবজেক্টকে স্থির অবস্থায় রেখে স্কেল অনুযায়ী বড় কিংবা ছোট করা যায়। অর্থাৎ স্থির অবস্থানে রেখে একটি অবজেক্টকে পরিবর্তন করার জন্য এই টুলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উক্ত গ্রুপের অপর টুল দু’টি হচ্ছে যথাক্রমেঃ
    > Shear Tool: উক্ত টুলের সাহায্যে কেন্দ্র বিন্দু ঠিক রেখে অবজেক্টকে যে কোন এঙ্গেলো ঘুরানোসহ আকার বড়-ছোট করা যায় এবং
    > Reshape Tool: পেন টুল, ব্রাশ টুল কিংবা পেন্সিল টুল দিয়ে অংকিত অবজেক্টের শেপ পরিবর্তন করার জন্য উক্ত টুল ব্যবহার করা যায়। অবজেক্টের যে কোন পাথে ক্লিক করার মাধ্যমে অবজেক্টকে স্থানান্তর করাসহ ইচ্ছে মতো শেপ পরিবর্তন করার জন্য টুলটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
    • Width Tool (Shift + W): এই সিঙ্গেল টুলটি দিয়ে পেইন্টব্রাশ ও ব্লব ব্রাশ টুল দিয়ে অংকিত অবজেক্ট ব্যতিত অন্য (প্রায়) সকল অবজেক্টের যে কোন পাথকে প্রয়োজনানুযায়ী মোটা/চিকন করাসহ বিভিন্ন প্রকার আকৃতি প্রদান করা যায়।
    • Free Transform Tool (E): এই সিঙ্গেল টুলের মাধ্যমে একটি অবজেক্টকে ফ্রি ভাবে ঘুরানো, রূপান্তর, পরিবর্তন ও স্থানান্তর করা সম্ভব।
    • Shape Builder Tool (Shift + M): এই টুলের সাহায্যে অবজেক্টের যে কোন আকৃতি নির্মাণ করা যায়। অর্থাৎ এই টুলে ক্লিক করার পর যে কোন কালার সিলেক্ট করে অবজেক্টটিতে ক্লিক করলে কালার পরিবর্তন হয়ে যায়। এই টুলে ক্লিক করার পর কন্ট্রোল কী চেপে রেখে অবজেক্টটিকে প্রয়োজনমতো সাইজ নির্ধারণ করা যায় কিংবা অল্টার কী চেপে ধরে অবজেক্টটিতে ক্লিক করলে সম্পূর্ণ অবজেক্টটি আর্ট বোর্ড থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে। উক্ত গ্রুপের অন্য দু’টি টুল হচ্ছে-
    > Live Paint Bucket Tool: এই টুলটির মাধ্যমে সরাসরি যে কোন কালার এক অবজেক্ট থেকে অন্য অবজেক্টে স্থানান্তর বা রং পরিবর্তন করা সম্ভব।
    > Live Paint Selection Tool: উক্ত টুলটিতে ক্লিক করে কালার বাটনের যে কোন কালার সিলেক্ট করলে সরাসরি অবজেক্টের কালার পরিবর্তন হয়ে যায়।
    • Perspective Grid Tool (Shift + P): এই টুলটি দিয়ে নির্দিষ্ট গ্রিড দেয়া যেতে পারে। যার গ্রিড, অবস্থান, দূরত্ব ও গভীরতা ইচ্ছেমতো পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা যায়। এই গ্রুপের অন্য টুলটি হচ্ছেঃ
    Perspective Selection Tool: এই টুল দিয়ে Perspective টুলটিকে সিলেক্ট করে বিভিন্ন আকৃতি প্রদান করা যায় কিংবা মুছে ফেলা যায়। নিম্নে চিত্রে টুলটির ব্যবহারের নমুনা দেখানো হলোঃ

    • Mesh Tool (U): এই সিঙ্গেল টুলটি দিয়ে একটি অবজেক্ট-এর বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন রং দিয়ে রঙ্গিন করা যায় অর্থাৎ কালার করা যায় কিংবা কালার পরিবর্তন করা যায়। নিম্নে নমুনা উপস্থাপন করা হলোঃ

    • Gradient Tool (G): উক্ত সিঙ্গেল টুলের মাধ্যমে একটি অবজেক্টে সাদা-কালোর মিশ্রন কিংবা ইচ্ছেমতো অন্যান্য কালার দিয়ে সজ্জিত করা যায়।
    • Eyedropper Tool (I): এই টুলের মাধ্যমে একটি অবজেক্টের যে কোন একটি নির্দিষ্ট অংশের হুবহু কালারকে অন্য অংশে প্রতিস্থাপনের জন্য নির্বাচন করা যায়। উক্ত গ্রুপের অপর টুলটি হচ্ছে
    > Measure Tool: Measure টুল দিয়ে অবজেক্টের প্রশস্ততা, উচ্চতা ও অবস্থান নির্বাচন করা যায়।
    • Blend Tool (W): এই সিঙ্গেল টুলটি দিয়ে দুইটি অবজেক্টের মধ্যখানে কালার শেপ-এর সংমিশ্রণ ঘটানো যায়। যেমন- কিছুটা দূরত্বে একটি বৃত্ত ও একটি চতুর্ভূজ আঁকার পর ব্লেন্ড টুল-এ ক্লিক করে বৃত্ত ও চতুর্ভূজে ক্লিক করলে মাঝ খানে ব্লেন্ড তৈরি হবে (ব্লেন্ড স্পষ্ট বুঝার জন্য বৃত্ত ও চতুর্ভূজের আলাদা রং দেয়া যেতে পারে)। উক্ত টুলে ডাবল ক্লিক করলে ব্লেন্ড অপশন আসবে তাতে চিত্রের মতো করে ব্লেন্ড সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া যাবে।

    • Symbol Prayer Tool (Shift + S): ইলাস্ট্রেটর এর নিজেস্ব কিছু প্রতীক(সেম্বল) আছে। যা আর্টবোর্ড-এ অবজেক্টের ভিতর কিংবা বাহিরে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে অবজেক্টকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। গ্রুপটির অন্যান্য টুলগুলো হচ্ছে যথাক্রমে Symbol Shipper Tool, Symbol Scruncher Tool, Symbol Sizer Tool, Symbol Spinner Tool, Symbol Stainer Tool, Symbol Screener Tool & Symbol Styler Tool (এই টুলগুলো দিয়ে একাধিক সেম্বলকে একীভূত করণ, সেম্বলকে ঘোরানো, বড়-ছোট করা কিংবা নতুন রূপ দেয়া যায়।
    • Column Graph Tool (J): একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের তথ্য, বেতন শীট কিংবা একটি দেশের জনসংখ্যার চিত্র উপস্থাপন করার জন্য কলাম গ্রাফ টুল ব্যবহার করা হয়।এই গ্রুপের অন্য টুলগুলো দিয়ে কলাম ও গ্রাফের ধরণকে ভিন্ন ভিন্ন রূপে উপস্থাপন করা সম্ভব।
    • Art-board Tool (Shift + O): এই টুলটিতে ক্লিক করে আর্টবোর্ডকে অবজেক্টসহ সুবিধামতো স্থানে (ডান/বাম/উপর/নীচ) রেখে কাজ করা যায়। এটি একটি সিঙ্গেল টুল।
    • Slice Took (Shift + K): কোন অবজেক্টকে খন্ড-খন্ড আকারে দেখানোর জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা হয়। এই গ্রুপ টুলটির অপর টুলের নাম Slice Selection Tool যা দিয়ে খন্ড অংশগুলোকে সিলেক্ট করা যায়।
    • Hand Tool (H): এই গ্রুপ টুলটি দিয়ে অবজেক্টসহ আট বোর্ডকে ডান-বাম কিংবা উপর-নীচে সরানো যায়। এই গ্রুপের অন্য টুলটি হচ্ছে Print Tiling Tool যা দিয়ে পেজের প্রিন্টেবল এরিয়া প্রদর্শিত হয়।
    • Zoom Tool (Z): এই টুলটি দিয়ে আট বোর্ডকে ইচ্ছেমতো বড় কিংবা ছোট করে কাজ করা যায়। অর্থাৎ নিখুত ভাবে কাজ করার জন্য জুম বাড়িয়ে কাজ শেষে জুম কমিয়ে দেয়া যায়। এটি একটি সি্ঙ্গেল টুল।
    • Fill (X): কোন অবজেক্টের ভিতরের অংশে রং করাকে ফিল কালার বলে। সাধারণতঃ এই অংশটি সাদা রং দিয়ে পূণ থাকে। টুল বক্সের ফিল টুলে ডাবল ক্লিক করলে কালার পিকার নামে একটি বক্স আসবে যা থেকে পছন্দমতো রং দিয়ে অবজেক্ট রঙ্গিন করা যায়।
    • Stroke (Click to Active ) (X): অবজেক্টের বাহিরের অংশ তথা পাথ বা লাইনকে ষ্ট্রোক বলে। এটি সাধারণতঃ কালো রং-এর হয়ে থাকে। টুল বক্সের ষ্ট্রোক টুলে ক্লিক করে কালার পিকার থেকে পছন্দমতো ষ্ট্রোক কালার দেয়া যেতে পারে। তবে ষ্ট্রোকের কালার বুঝার জন্য টুলবার থেকে ষ্ট্রোক-এর পুরত্ব বাড়িয়ে দিতে হবে কিংবা জুম বড় করে কালার ঠিক হয়েছে কিনা দেখে নেয়া যেতে পারে।
    • Swap Fill and Stroke (Shift X): টুল বক্সের এ্যারো চিহ্ন জাতিয় এই টুলে ক্লিক করলে ফিল এবং ষ্ট্রোকের কালার স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ ফিল টুলে যে কালার থাকে তা ষ্ট্রোক টুলে আবার ষ্ট্রোক টুলে যে কালার থাকে তা ফিল টুলে স্থানান্তরিত হয়।
    • Default Fill and Stroke (D): টুল বক্সের এই টুলটিতে ক্লিক করলে ফিল ও ষ্ট্রোকের বিভিন্ন কালার থাকলেও তা ডিফল্ট ভাবে সাদা (ফিল) কালো (ষ্ট্রোক)-তে পরিবর্তীত হয়ে যায়।
    • Color (<): এই টুলে আর্ট বোর্ডের সব শেষে সিলেক্টকৃত অবজেক্টের কালার প্রদর্শিত হয়।
    • Gradient (>): উক্ত টুলে ক্লিক করার মাধ্যমে সিলেক্টকৃত অবজেক্টে সাদা-কালোর মিশ্রিত রং প্রদশন করা যায়।
    • None (/): এই টুলে ক্লিক করার মাধ্যমে সিলেক্টকৃত ফিল কিংবা ষ্ট্রোক কালারকে বাদ দিয়ে কালার শুন্য করা যায়।
    • Draw Normal (Shift + D to switch mode): সাধারণতঃ আর্ট বোর্ডে কোন অবজেক্ট তৈরি করলে তা নরমাল মোডেই থাকে।
    • Draw Behind (Shift + D to switch mode): একটি অবজেক্টের পিছনে যদি আরেকটি অবজেক্ট থাকে তাতে কোন পরিবর্তন আনতে গেলে ড্র বিহাইন্ড টুলটি হাই লাইট হয়।
    • Draw Inside (Shift + D to switch mode): একটি অবজেক্ট সিলেক্ট করা অবস্থায় এই অপশনে ক্লিক করলে চতুর্দিকে বাউন্ডিং বক্সের ন্যায় তৈরি
    • Change Screen Mode (F): স্ক্রিন মোড পরিবর্তন করার জন্য এই টুলটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
    হ্যাঁ বন্ধুগণ, “Care Computer Training Institute” (Care Computer Training Institute)-এর Masud Computer ওয়েব সাইট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে এডৌবি ইলাস্টেটর এর অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আপনারা অবশিষ্ট বিষয়াবলী নিজেরাই বের করতে পারবেন। তাছাড়া Practical কাজে কোন সমস্যা হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন কিংবা নিজেই সমস্যা লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিন ভিডিও টিউটরিয়ালের জন্য তাহলে কাংঙ্খিত সমাধান পেয়ে যাবেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি।
    Newer post Older post
    ads1

    পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

    ডোমেইন হোস্টিং সার্ভিস এই লিংকে চাপ দিন

    ওয়েব ডিজাইন সার্ভিস এই লিংকে চাপ দিন

    গ্রাফিক্স ডিজাইন সার্ভিস এই লিংকে চাপ দিন

    ডোমেইন চেকার এই লিংকে চাপ দিন

    আপনার জন্য আরো কিছু পোস্ট

    RELATED ARTICLES

      ads3