বর্তমান বিশ্বের গ্রাফিক্স ডিজাইনারগণের পছন্দের সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় সফটওয়্যার হচ্ছে এডৌবি ফটোশপ (Adobe Photoshop)। এই সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে এডৌবি ইলাস্ট্রেটর এর ন্যায় এতোটা সহজে ছবি আঁকা সম্ভব না হলেও অতি সহজে কিছু অবজেক্ট তৈরি করা যায় এবং তৈরিকৃত ছবি/ইমেজকে সুন্দরভাবে মডিফাই করা যায়। এডৌবি ফটোশপ (Adobe Photoshop)-এর ন্যায় এতোটা সহজে অন্য কোন সফটওয়্যারে ছবি মডিফাই/সম্পাদনা (এডিটিং) করা যায় বলে itvander.com ওয়েব সাইট কর্তৃপক্ষের চোখে পড়েনি।Masud Computer BD উক্ত সফটওয়্যারটি উৎপত্তির সময় থেকে ধারাবাহিকভাবে আপডেট হতে হতে এখন সিএস ভার্ষন অতিক্রম করতে চলেছে।
এটি মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার। যার মাধ্যমে একটি ছবিকে বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এডৌবি (Adobe) করপোরেশন কর্তৃক এই সফটওয়্যারটি বাজারজাতকৃত।
* ফটোশপ এর কার্যকারিতা (Using Photoshop): https://masudcomputerbd.blogspot.com ওয়েব সাইট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে এডৌবি ফটোশপ (Adobe Photoshop) হচ্ছে একটি ফটো/ছবি এডিটিং (সম্পাদনা) সফটওয়্যার, যাহার সাহায্যে অতি সহজে যে কোন ধরনের ছবি মডিফাই (Modify) করা যায় এবং একই ছবিকে ইচ্ছেমতো বিভিন্ন রূপ দেয়া যায়। এডৌবি ফটোশপ সফটওয়্যার (Adobe Photoshop Software) এর আরেকটি বড় Advantage হচ্ছে এখানে অতি স্বাচ্ছন্দে লেখা(Text) ও ছবি (Picture)কে সমন্বয় সাধন করা যায়। তাছাড়া উক্ত সফটওয়্যার এর সাহায্যে নিম্নোক্ত কাজগুলো করা যায়ঃ
(ক) Masud Computer BD/ ওয়েবসাইট/ওয়েবপেজ-এর প্রচ্ছদ ও মেনুবার সুন্দরভাবে উপস্থাপনের নিমিত্তে (ফটোশপ দিয়ে) তৈরি করা যায়।
(খ) মাল্টিমিডিয়ার (Multimedia) কাজসমূহ সুন্দর ভাবে প্রস্তুত করা যায়।
(গ) প্রকাশনা শিল্পের কাজ (যেমন- বই/পত্রিকার প্রচ্ছদ তৈরি) নিখূঁত ভাবে তৈরি করা যায় এবং
(ঘ) অনলাইন গ্রাফিক্স (Graphics) তৈরি/সম্পাদনার কাজ সহজভাবে করা যায়।
* ফটোশপ চালু করা (Start the Photoshop): Photoshop সফটওয়্যার চালু করতে হলে প্রথমেই আপনার কম্পিউটারে সফটওয়্যারটি ইনষ্টল (Install) আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। ইনষ্টল করা না থাকলে ইনষ্টল করে নিতে হবে। উল্লেখ্য, যে কোন সফটওয়্যার ইনষ্টল (Software Install) করা কঠিন কাজ নয় বরং খুবই সহজ। প্রাথমিকভাবে নিজে ইনষ্টল করতে না পারলে পরিচিত জানা যে কোন ভাই/বন্ধুর সাহায্য নিতে পারেন। আর জানা ভাই/বন্ধুও যদি না থাকে তাহলে পরিচিত কম্পিউটার দোকানে নিতে পারেন অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যোগাযোগ ঠিকানা ওয়েব সাইটটি থেকে খুঁজে বের করতে পারবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।
উইন্ডোজ এক্সপি অথবা উইন্ডোজ সেভেন- এর ক্ষেত্রে ফটোশপ চালু করার জন্যঃ Start> All Programs> Adobe Design Premium CS5> Adobe Photoshop CS5 (আপনার কম্পিউটারে যদি এডৌবি ফটোশপ সিএস৫ ইনষ্টল করা থাকে)-এ ক্লিক করলে সফটওয়্যারটি চালু হবে। অবশ্য উইন্ডোজ এইট এর ক্ষেত্রে সফটওয়্যারটি ইনষ্টল করা থাকলে তার একটি আইকন বা সেম্বল ডেস্কটপ মেনুর সাথে থাকবে, যাতে ক্লিক করলে সফটওয়্যারটি চালু হবে। চালু হওয়ার পর নিম্নোক্ত স্ক্রিন প্রদর্শিত হবেঃ
লক্ষ্য করলে দেখবেন- উক্ত স্ক্রিনে টাইটেল বার, কন্ট্রোলবার, মেনু বার, খালি স্থান (উইন্ডো), হরিজন্টাল ও ভারটিকেল স্ক্রল বার, প্যালেট, টুল বক্স ইত্যাদি প্রদর্শিত আছে। যে সকল বন্ধুগণ ইতমধ্যে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল ইত্যাদি অফিস কোর্সে কাজ করেছেন তারা নিশ্চয়ই এতদিনে টাইটেল বার, কন্ট্রোলবার, মেনু বার ইত্যাদি বিষয়ে পুরোপুরি জেনে থাকবেন (যারা নতুন তারা আমাদের উক্ত ওয়েব সাইটের মাইক্রোসফট অফিস অংশ দেখে আসতে পারেন)। আপনারা শুধুমাত্র খালি স্থান. প্যালেট ও টুল বক্স বিষয়ে অবগত নন। তাই আমরা পরবর্তী অংশে খালি স্থান/উইন্ডো (যা কাজ করার সময় একটি সাদা পৃষ্ঠার ন্যায় থাকবে), প্যালেট ও টুল বক্স নিয়ে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো। আপনি মাউস দিয়ে মেনু বার-এর File Menu তে ক্লিক করে New Submenu তে ক্লিক করলে একটি নিউ নামক বক্স আসবে, যার ডান দিকে OK বাটনে ক্লিক করলে কাজ করার জন্য একটি সাদা পেজ আসবে, যাতে ছবি প্রয়োজনীয় মডিফাই করা হয়ে থাকে। যার নমুনা নিম্নরূপঃ
* Toolbox: “মাসুদ কম্পিউটার বিডি” (Masud Computer BD)-এর Masud Computer BD ওয়েব সাইট কর্তৃপক্ষ এবার আপনাদের খেদমতে আলোচনা করবে এডৌবি ফটোশপ এর প্রাণ তথা টুল বক্স সম্পর্কে। তার পূর্বে টুল প্যালেট সম্পর্কে শুধুমাত্র এতটুকুন উল্লেখ করছি যে, এডৌবি ফটোশপ-এ অনেকগুলো টুল প্যালেট আছে যা ছবি কিংবা লেখাকে পূর্ণতা দানে বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকে।
ফিরে আসি টুল বক্সের আলোচনায়- যে কোন ধরনের লেখা কিংবা ছবি আঁকার জন্য অথবা মডিফাই করার জন্য এই টুল বক্সই হচ্ছে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপকরণ। উল্লেখ করা যেতে পারে- কী বোর্ড থেকে ট্যাব কী চাপলে স্ক্রীন থেকে টুল বক্স ও টুল প্যালেট অদৃশ্য হয়ে যাবে, পুনরায় চাপলে তা দৃশ্যমান হবে। টুল বক্সটিতে সাধারণত যা যা থাকে তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নে দেয়া হলোঃ
• Rectangular Marquee Tool (M): Rectangular Marquee টুলের সাহায্যে চার কোনা বিশিষ্ট সিলেকশান তৈরি করা যায়। আর সিলেকশানকে অবজেক্ট আকৃতি দেয়ার জন্য টুল বক্সের Set Foreground Color/Set Background Color দিয়ে সিলেকশান পূর্ণ করা যায়। Set Foreground Color এর জন্য কী বোর্ড থেকে অল্টার কী চেপে রেখে বেকস্পেস চাপতে হবে আর Set Background Color এর জন্য কী বোর্ড থেকে কন্ট্রোল কী চেপে রেখে বেকস্পেস চাপতে হবে। টুলটিতে ক্লিক করার পর সাদা পেজের যে কোন স্থানে মাউস দিয়ে ইচ্ছামতো করে আকৃতি দিয়ে চার কোন বিশিষ্ট সিলেকশান তৈরি করে রং দিয়ে পূর্ণ করার মাধ্যমে অবজেক্ট আঁকা যায়। এই টুলটি একটি গ্রুপ টুল। এই গ্রুপের অন্যান্য টুলগুলো হচ্ছে যথাক্রমেঃ
> Elliptical Marquee Tool: এই টুলটি দ্বারা গোলাকার বা ডিম্বাকৃতির অবজেক্ট আঁকা যায়। উক্ত সিলেকশানকে অবজেক্টে রূপান্তর করার নিয়ম চার কোনা বিশিষ্ট সিলেকশানকে অবজেক্টে রূপান্তর করার অনুরূপ।
> Single Row Marquee Tool: উক্ত টুল দ্বারা সিঙ্গেল রো-এর ন্যায় দাগ টানা যায় এবং
> Single Column Marquee Tool: এই টুল দিয়ে সিঙ্গেল কলামের ন্যায় দাগ টানা যায়।
• Moov Tool (V): Moov টুলটি দিয়ে সিলেক্টকৃত যে কোন অবজেক্ট মুভ বা নাড়াচাড়া করা যায় বা স্থানান্তর করা যায়। কিন্তু একটি এ্যাকটিভ লেয়ার-এর কোন অবজেক্ট সিলেক্ট করা না থাকলে ঐ লেয়ার-এর সকল অবজেক্টই মুভ/স্থানান্তর করা যায়।
• Lasso Tool (L): Lasso টুলের সাহায্যে ফ্রি ভাবে অতি সহজে যে কোন ধরনের অবজেক্ট-এর জন্য সিলেকশান তৈরি করা যায় কিংবা সিলেকশান দ্বারা ইতেমধ্যে তৈরিকৃত অবজেক্ট মুছে ফেলা যায়। লাসো টুলের সিলেকশানকে অবজেক্টে পরিণত করার নিয়ম চতুর্ভূজ কিংবা গোলাকার অবজেক্ট তৈরির অনুরূপ। এই টুলটি একটি গ্রুপ টুল। এই গ্রুপের অন্য টুলগুলো হচ্ছেঃ
> Polygonal Lasso Tool: এই টুলটি দিয়ে সাধারণত পঞ্চভূজসহ বহুভূজ বিশিষ্ট সিলেকশান ও অবজেক্ট তৈরি করা যায় (সিলেকশানকে অবজেক্টে রূপান্তর করার নিয়ম একই)।
> Magnetic Lasso Tool: ম্যাগনেটিক টুল দ্বারা চুম্বকের ন্যায় আকর্ষন করে কোন অবজেক্টকে সিলেক্ট করা যায়, যার ফলে ঐ অবজেক্টটিকে সহজে পরিবর্তন করা কিংবা মুছে ফেলা যায় অথবা বহুকোণ বিশিষ্ট অবজেক্ট তৈরি করা যায়।
• Magic Wand Tool (W): একই রং এর এক বা একাধিক বস্তুর রং (কালার) পরিবর্তন করার জন্য উক্ত একক টুলটি ব্যবহার করা যায়। তা করার জন্য প্রথমে টুলটিতে ক্লিক করে যে রং পরিবর্তন করতে চান তার উপর মাউস দিয়ে ক্লিক করলে সিলেকশান তৈরি হবে। উক্ত সিলেকশানকে সিলেক্ট মেনুর গ্রো অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে বাড়ানো যাবে অথবা একই মেনুর সিমিলার অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে একই কালার এ্যাকটিভ লেয়ারের যে যে স্থানে আছে তা নির্বাচন করে কালার (রং) পরিবর্তন করা যাবে।
• Crop Tool (C): ক্রোপ টুলটির সাহায্যে একটি অবজেক্টকে নির্ধারিত পরিমাণে কিংবা পরিমাপ ব্যতিরেকে মাউস ক্লিক করে মূভ করার মাধ্যমে কাটা যায় কিংবা ছোট করা যায়। এই টুলটির আরেকটি বৈশিষ্ট হচ্ছে এই টুলটির সাহায্যে অতি সহজেই পাসপোর্ট সাইজ কিংবা ষ্ট্যাম্প সাইজ ছবি তৈরি করা যায় (বিস্তারিত নিয়ম পরবর্তী পর্যায়ে উল্লেখ করা হবে ইনশাআল্লাহ)।Masud Computer BD উক্ত টুলটি একটি গ্রুপ টুল। এই গ্রুপের অপর দু’টি টুল হচ্ছে যথাক্রমেঃ
> Slice Tool: এই টুল দ্বারা একটি ছবির বিভিন্ন অংশের পরিমাপ বা হিসাব রাখা যায় তাছাড়া এটির সাহায্যে ওয়েব লিঙ্ক-এর কাজ অতি সহজে সম্পন্ন করা যায়।
> Slice Select Tool: এই টুলের মাধ্যমে স্লাইস টুল দ্বারা নির্বাচিত অংশের পরিমাপ কমানো বা বাড়ানো যায়।
• Eyedropper Tool (I): টুলটি দিয়ে কালার প্যালেট ছাড়াও ডকুমেন্টের যে কোন অংশ থেকে অতি সহজে পছন্দের কালার নির্বাচন করা যায়। এই টুলটি একটি গ্রুপ টুলের অন্তর্ভূক্ত। উক্ত গ্রুপের অন্য টুলসমূহ হচ্ছে যথাক্রমেঃ
> Color Sampler Tool: Color Sampler টুলটি দিয়ে কালার পরিমাপ এবং অবস্থান নির্ণয় করা যায়।
> Ruler Tool: Ruler টুলের সাহায্যে অবজেক্টের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে টান দিয়ে অবজেক্টটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও কৌনিক দূরত্ব ইত্যাদি মাপা যায়। তা করার জন্য প্রথমে উইন্ডো মেনু থেকে Info প্যালেটটিকে প্রদর্শন করে নিতে হবে।
> Note Tool: গুরুত্বপূর্ণ একটি অবজেক্টের কোন একটি স্থানের বিষয়ে বর্ণনা দেয়ার প্রয়োজন হলে এই টুলটি ব্যবহার করে নোট/বর্ণনা দেয়া যায়।Masud Computer BD.
• Spot Healing Brush Tool (J): উক্ত টুলের সাহায্যে ইমেজ/ছবিতে কোন স্পট বা দাগ থাকলে তা সুক্ষভাবে দূর করা যায় তাছাড়া একটি নির্দিষ্ট ডিজাইনের উপর অন্য রকম ডিজাইন থাকলে তা সহজে সরিয়ে দেয়া যায় বা দূরীভূত করা যায়। এই টুলটি একটি গ্রুপ টুল। উক্ত গ্রুপের অন্য টুলসমূহ যথাক্রমেঃ
> Healing Brush Tool: Healing Brush টুলে ক্লিক করে অল্টার কী চেপে রেখে একটি নির্দিষ্ট রং এর উপর ক্লিক করার পর অন্য স্থানে ক্লিককৃত রং-টি প্রয়োগ করা যায়;
> Patch Tool: Patch টুলের সাহায্যে একটি নির্দিষ্ট অংশ সিলেক্ট করার পর সিলেক্টকৃত অংশে মাউস দিয়ে ক্লিক করে ধরে রেখে অন্য যে অংশে মাউস ক্লিক ছেড়ে দেয়া হবে সে অংশের একটি ছায়া কপি সিলেক্টকৃত অংশে দেখা যাবে;
> Red Eye Tool: এই টুলের সাহায্যে কোন অবজেক্টের ভিতর চোখ আকৃতির চিহ্ন সেট করা যায়।
• Brush Tool (B): ফ্রী-হস্তে রং-তুলির মতো করে যে কোন অবজেক্ট আঁকার জন্য এই গ্রুপ টুলটি ব্যবহার করা যায়। এই গ্রুপ টুলটির অন্য তিনটি টুল হচ্ছে যথাক্রমে
> Pencil Tool: এই টুলটি দিয়ে পেন্সিল দিয়ে কোন কিছু আঁকার ন্যায় করে অবজেক্ট তৈরি করা যায়।
> Color Replacement Tool: উক্ত টুলটি দিয়ে কালার রিপ্লেস বা রং পুনঃস্থাপন করা যায় আবার সেট ফরগ্রাউন্ড কালার দিয়ে পরিপূর্ণ করা যায়।
> Mixer Brush Tool: উক্ত টুলটি দিয়ে দু’টি রং-এর মধ্যে সমন্বয় করা যায় অর্থাৎ একটি রং-এর সাথে আরেক রং এর মিশ্রন করা যায়।
• Clone Stamp Tool (S): এই গ্রুপ টুলটির মাধ্যমে একটি অবজেক্ট-এর সীল মোহর জাতীয় দ্বি-নকল তৈরি করা যায়। তা করার জন্য টুলটিতে ক্লিক করে অল্টার কী চেপে ধরে নির্বাচিত অবজেক্টে ক্লিক করে পরে যে স্থানে নতুন অবজেক্ট স্থাপন করতে চান সেখানে মাউসের বাম বাটন চেপে ধরে প্রয়োজন পরিমাণ নাড়াচাড়া করতে হবে।
এই গ্রুপের অন্য টুলটি হচ্ছেঃ
> Pattern Stamp Tool: যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ণ এ্যাক্টিভ লেভেলে তৈরি করা যায়।
• History Brush Tool (Y): এই টুলটি একটি গ্রুপ টুল। এই টুলের সাহায্যে ইতিপূর্বে ব্যবহৃত ব্রাশ টুলের সাহায্যে একটি অবজেক্টকে সাদা রং দিয়ে ঢেকে দেয়া যায় বা মুছে দেয়া যায়। এই টুলের History নামে Window Menu-তে একটি Palate আছে যা দিয়ে ইতিপূর্বে করা কাজের ইতিহাস জানা যায় এবং ইচ্ছে করলে তা মুছে দেয়া যায়। উক্ত গ্রুপের আরেকটি টুল হচ্ছে
> Art History Brush Tool: যা দিয়ে মেনু বারের নীচে অবস্থিত টুলবারের ওপাসিটি, ষ্টাইল ও এরিয়া নির্বাচন করে অবজেক্টের উপর ডিজাইন করা যায় কিংবা অবজেক্টকে মুছে দেয়া যায়।
• Eraser Tool (E): উক্ত গ্রুপ টুলটি দিয়ে এ্যাক্টিভ লেয়ারের কোন অবজেক্টকে মুছে দেয়া যায়। এই গ্রুপের অন্য টুল দু’টি হচ্ছে যথাক্রমে
> Background Eraser Tool: এই টুলটি দিয়ে এ্যাক্টিভ লেয়ার-এর কোন অবজেক্ট কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকা রং মুছে দেয়া যায়।
> Magic Eraser Tool: ম্যাজিক ইরেজার টুল দিয়ে ম্যাজিকের ন্যায় অবজেক্টের নিকটবর্তী স্থানের একই জাতিয় রং মুছে দেয়া যায়।
• Gradient Tool (G): এই গ্রুপ টুলটি দিয়ে যে কোন অবজেক্টকে একই সাথে একাধিক কালার দিয়ে পাশা-পাশি, লম্ভা-লম্ভি, কোনা-কুনিসহ বিভিন্ন ভাবে পরিপূর্ণ করা যায়।
গ্রুপের অন্য টুলটি হচ্ছেঃ Masud Computer BD:
> Paint Bucket Tool: যার সাহায্যে একটি অবজেক্টকে ফোরগ্রাউন্ড কালার দিয়ে্ এ্যাকটিভ লেয়ারের সিলেকশানকৃত অংশকে কিংবা সিলেকশান বিহীন এক বা একাধিক অবজেক্ট অথবা সম্পূর্ণ লেয়ারকে পরিপূর্ণ করা যায়।
• Blur Tool: এই গ্রুপ টুলটি দিয়ে একাধিক লেয়ারে তৈরিকৃত অবজেক্টের বর্ডার ফিনিশিং দেয়া যায়।
এই গ্রুপের অন্য টুলদ্বয় হচ্ছে যথাক্রমেঃ
> Sharpen Tool: এই টুল দিয়ে একাধিক লেয়ারে তৈরিকৃত অবজেক্টের বর্ডারে সার্পেন ফিল্টার ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া-
> Smudge Tool: উক্ত টুলটি দিয়ে একাধিক লেয়ারের কালার মুভ করে সমন্বয় করা যায়।
• Dodge Tool (O): এই গ্রুপ টুলটি দিয়ে এ্যাকটিভ লেয়ারের অবজেক্টে কিছুটা সাদা ধরনের লাইটিং এফেক্ট দেয়া যায় বা কালো অবজেক্টকে কিছুটা সুন্দর বা পরিষ্কার করা যায়।এই গ্রুপের অন্য দু’টি টুল হচ্ছে
> Burn Tool: এই টুলটি দিয়ে এ্যাকটিভ লেয়ারের কোন অবজেক্টকে জ্বালিয়ে দেয়ার মতো বা কালো ধরনের লাইটিং এ্যাফেক্ট দেয়া যায় এবং
> Sponge Tool: উক্ত টুলটি ব্যবহার করে একটি অবজেক্টকে গ্রে-স্কেলের ন্যায় কিছুটা সাদা ও স্বাভাবিক এফেক্ট দেয়া যায়।
• Pen Tool (P): এই গ্রুপ টুলটির মাধ্যমে ইচ্ছামতো খোলা পাথ কিংবা বদ্ধ পাথ অংকন করা যায়। খোলা পাথ বলতে যে পাথের শেষ বিন্দু প্রথম বিন্দুর সহিত মিলিত হয় না তাকে বলে আর বদ্ধ পাথ হচ্ছে ঐ সকল পাথ যার প্রথম বিন্দুর সহিত শেষ বিন্দু মিলিত হয়। এই গ্রুপের অন্য টুলগুলোর নাম ও কাজ যথাক্রমে
> Free-form Pen Tool:এই টুলটি দিয়ে ফ্রি ভাবে (পেন্সিলের ন্যায়) পাথ আঁকা যায় কিংবা পেন টুল দিয়ে আঁকা পাথের এ্যাংকর পয়েন্ট মুছে দেয়া যায়।
> Add Anchor Point Tool: উক্ত টুল দিয়ে যে কোন ধরনের পাথের শেপ পরিবর্তনের জন্য এ্যাঁকর পয়েন্ট যোগ করা যায়।
> Delete Anchor Point Tool: এই টুলটি ব্যবহার করার মাধ্যমে পাথ থেকে অপ্রয়োজনীয় এ্যাংকর পয়েন্ট মুছে দেয়া যায় এবং
> Convert Point Tool: এই টুলটি দিয়ে পাথে ডিরেকশান লাইন তৈরি করে সম্পূর্ণ পাথের আকৃতিই পরিবর্তন করা যায়।
• Horizontal Type Tool (T): এই টুলটি দিয়ে পাশাপাশি টাইপ করা যায় বা পাশাপাশি যা ইচ্ছা লেখা যায়। উক্ত গ্রুপের অন্য টুলগুলোর কাজের বিবরণ ধারাবাহিক ভাবে
> Vertical Type Tool: এই টুলের সাহায্যে উপর নীচে লেখা যায়।
> Horizontal Type Mask Tool: উক্ত টুলের সাহায্যে পাশাপাশি লেখার মাস্ক তৈরি করা যায় যাতে রং দিয়ে পরিপূর্ণ করার মাধ্যমে লেখায় পরিণত হয় এবং
> Vertical Type Musk Tool: উক্ত টুলটি দিয়ে উপর-নীচে লেখার মাস্ক তৈরি করা যায় যাতে রং দিয়ে পরিপূর্ণ করার মাধ্যমে লেখায় পরিণত হয়।
• Path Selection Tool (A): এটি একটি গ্রুপ টুল। যার সাহায্যে পাথ অংকন করার পর সিলেক্ট করা যায়, স্থানান্তর করা যায় কিংবা পাথ সিলেক্ট থাকা অবস্থায় মাউসের ডান বাটনে ক্লিক করে বিভিন্ন এফেক্ট দেয়া যায়। এই গ্রুপের অন্য টুলটি হচ্ছে
> Direct Selection Tool: যার মাধ্যমে পাথের এক বা একাধিক বাহু কিংবা সকল বাহুকে ইচ্ছেমতো বড়-ছোট করা যায়। তাছাড়া পাথ সিলেক্ট থাকা অবস্থায় মাউসের ডান বাটনে ক্লিক করে বিভিন্ন এফেক্ট দেয়া যায়।
• Rectangle Tool (U): এই টুলটি একটি গ্রুপ টুল। টুলটির সাহায্যে চার কোণা বিশিষ্ট অবজেক্ট আঁকা যায়। উক্ত গ্রুপের অন্যান্য টুলসমূহ যথাক্রমে
> Rounded Rectangle Tool: এই টুলটি দিয়ে কিছুটা গোলাকার আকৃতির চতুর্ভূজ অঙ্কন করা যায়।
> Ellipse Tool: এই টুলটি দিয়ে ডিম্বাকৃতি ধরনের গোলাকার অবজেক্ট বা বৃত্ত আঁকা যায়।
> Polygon Tool: এই টুলটি ব্যবহার করে পঞ্চভূজ জাতীয় অবজেক্ট অঙ্কন করা যায়।
> Line Tool: এই টুলটির সাহায্যে শুধুমাত্র একটি লাইন আকৃতির অবজেক্ট বা লাইন টানা যায় এবং
> Custom Shape Tool: এই টুলটির মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক অবজেক্ট অঙ্কন করা যায়।
• Hand Tool (H): এই গ্রুপ টুলটি দিয়ে উইন্ডোকে ডান বাম বা উপর নীচ করে অবজেক্ট দেখা যেতে পারে (জুম বড় থাকলে কিংবা জুম বড় করে নিখূঁত কাজ করে থাকলে)। এই গ্রুপের অপর টুল হচ্ছে
• Zoom Tool (Z): এই সিঙ্গেল টুলে ক্লিক করে উইন্ডোতে ক্লিক করার মাধ্যমে উইন্ডোর স্কীনকে ইচ্ছামতো বড় করে নিখূঁত অবজেক্ট তৈরি করা যায় এবং অল্টার কী চেপে রেখে পুনরায় উইন্ডোতে ক্লিক করে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়।
• Set Foreground Tool: কোন অবজেক্টে ফরগ্রাউন্ড কালার সেট করার জন্য অল্টার কী চেপে রেখে বেকস্প্রেস কী চাপতে হয়। অবশ্য ফরগ্রাউন্ডে ইচ্ছেমতো রং নির্বাচন করার জন্য কালার প্যালেট থেকে পছন্দের কালার-এ ক্লিক করতে হয়।
• Set Background Tool: কোন অবজেক্টে ব্যাকগ্রাউন্ড কালার সেট করার জন্য কন্ট্রোল কী চেপে রেখে বেকস্প্রেস কী চাপতে হয়। অবশ্য ব্যাকগ্রাউন্ডে ইচ্ছেমতো রং নির্বাচন করার জন্য কালার প্যালেট থেকে পছন্দের কালার-এ ক্লিক করে সুইচ ফরগ্রাউন্ড এন্ড ব্যাকগ্রাউন্ড কালার এ ক্লিক করতে হয়।
• Switch Foreground and Background Color (X): ডিফল্টভাবে ফরগ্রাউন্ডে সাদা এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে কালো রং থাকে। কিন্তু যে কেহ ইচ্ছা করলে কালার প্যালেট থেকে কালার নির্বাচন করে ফরগ্রাউন্ড ও ব্যাকগ্রাউন্ড কালার পরিবর্তন করতে পারে। ফরগ্রাউন্ড কালারকে ব্যাকগ্রাউন্ডে আর ব্যাকগ্রাউন্ড কালারকে ফরগ্রাউন্ডে আনার জন্য উক্ত সুইচ টু ফরগ্রাউন্ড এন্ড ব্যাকগ্রাউন্ড কালার টুল (তীর চিহ্নটিতে) ক্লিক করতে হয়।
• Default Foreground and Background Color (D): ডিফল্টভাবে ফরগ্রাউন্ডে সাদা এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে কালো রং থাকে। অন্য রং থাকলে ডিফল্ট অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উক্ত টুলটি ক্লিক করতে হয়।
হ্যাঁ, এডৌবি ফটোশপ (Adobe Photoshop)-এর বিশাল কর্মক্ষেত্রের মধ্যে Masud Computer ওয়েব সাইট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী নিয়ে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা রাখি বাকি পথটুকু পাড়ি দেয়া যে কোন সচেতন বন্ধুর পক্ষেই সম্ভব।
ডোমেইন হোস্টিং সার্ভিস এই লিংকে চাপ দিন ।
ওয়েব ডিজাইন সার্ভিস এই লিংকে চাপ দিন ।
গ্রাফিক্স ডিজাইন সার্ভিস এই লিংকে চাপ দিন ।
ডোমেইন চেকার এই লিংকে চাপ দিন ।